মো.সফর মিয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পৌর সদরের করিম শাহ মাজারের পাশে কয়েকটি স’মিল এবং মাঝিকাড়া কাঠের গোলার কয়েকটি স’মিলের কাঠ চেরাই করার আগে গাছের ছাল তুলে সংসার চালিয়ে আসছে কয়েকটি পরিবার। তদেরই একজন মাঝিকাড়া গ্রামের তিন সন্তানের জননী নার্গিস বেগম (৪২)। ভাড়া বাসায় থেকে কর্মাক্ষম স্বামীর অল্প রুজিতে ছাল থেকে আসা আয়ে হিমসিম খাওয়া সংসারে সাচ্ছন্দ্য আনেন তিনি গাছের ছাল বিক্রি করে। অভাবের সংসারে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দিনাতিপাত করা নার্গিস বেগম স্থানীয় কাঠ পট্টি থেকে সংগ্রহ করেন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা গাছের ছাল। লোহার ছোট শাবলকে পুঁজি করে স’মিলে চিড়ানোর আগে গাছে থাকা ছাল তুলেন তিনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ছাল সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকেন কাঠ পট্টিতে। সংগ্রহ করা ছাল বাসার পাশে রোদে শুকিয়ে নেন ৩ থেকে ৭ দিন।
রোদে শুকানো ছাল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মণে বিক্রি করেন। আশেপাশের অনেকে রান্না-বান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য সংগ্রহ করেন রোদে শুকানো এসব ছাল। শুকনো এসব ছালে আগুন ভালো ধরায় ও দাম কম হওয়ায় দিন দিন জ্বালানি হিসেবে বাড়ছে ছালের চাহিদা।
নার্গিস বেগম বলেন, আগে সংসার চলতে সমস্যা অইতো, অহন সমস্যা অয় না। হারাদিন পইরা থাহি কাঠ গোলাত। ইডি দিয়া আমার অহন সংসার চলে।
তেপান্তরে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Copyright © 2022 তেপান্তর | Design & Developed By: ZamZam Graphics