Tepantor

নাসিরনগরে হিলিপের কাজে হরিলুট,দেখার কেউ নেই

৬ মে, ২০২১ : ৩:১৮ অপরাহ্ণ ৯৬৮

তেপান্তর রিপোর্ট: নাসিরনগরে ৬৮ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে ভাঙ্গারী দোকান থেকে পুরাতন রড ও বিল্ডিং ভাঙ্গার পুরাতন পাথর আর মাটি দিয়ে। এভাবেই চলছে প্রকল্পের রাস্তা নির্মানের কাজ। আর এই বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। এ বিষয়ে ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরে চেঙ্গামোড়া নামক স্থানে ভাঙ্গারী দোকান থেকে পুরাতন রড, পুরাতন বিল্ডিং ভাঙ্গা পাথরের শুড়কি আর গুচ্ছ গ্রামের মাটি দিয়ে চলছে হাওড় অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের (হিলিপ) কাজ।

নাসিরনগর সদরের বাসিন্দা আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে মোঃ লিটন মিয়া এ কাজটি করে যাচ্ছে। লিটনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেকেই তাকে পান খাওড়া লিটন হিসেবে চিনে।

জানা গেছে, লিটন নানা অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় হিলিপ কর্মকর্তাদের কোনরূপ পাত্তা না দিয়ে তার নিজের খেয়াল খুশিমত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার সময় সরেজমিন উক্ত রাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে হাওড় অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের মোতালিব নামের এক কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতেও চলছে এমন কাজ। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হয়নি এ দুই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, কখনো রাতের অন্ধকারে আবার কখনো অফিস বন্ধের দিনেও চালিয়ে যাচ্ছে কাজ। শুধু চেঙ্গামোড়া নয় ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকোড়া গ্রামের ভিতর ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাস্তার অনিয়মের বিষয়েও রয়েছে গ্রামবাসী নানা অভিযোগ।

চেঙ্গামোড়া,আতুকোড়া ছাড়াও গোয়ালনগর ইউনিয়নের আশানগর রাস্তা নির্মানে ও রয়েছে নানা অভিযোগ। গতকাল সড়েজমিন চেঙ্গামোড়া রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।তাছাড়াও ঠিকাদার লিটনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও ধর্ষণের চেষ্টা সহ ৫ টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

একটি মামলায় লিটনকে ২১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।

জানতে চেয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রেজাউল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

লিটনের এমন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে হিলিপের নাসিরনগরের সমন্বয়কারী মোঃ জাকির হোসেনের সাথে দেখা করে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমি এখানে অসহায়। জেলা প্রধান কর্মকর্তার বাহিরে আমার কিছুই করার নেই।

সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম চেঙ্গামোড়া রাস্তা পরিদর্শনে আসলে তাকে পুরাতন রড,বিল্ডিং ভাঙ্গা পুরাতন পাথরের শুড়কি ও মাঠি দিয়ে কাজ করার কথা বললে তিনি বলেন, ঢালাইয়ের সময়তো আমি ছিলাম না। পাথরের বিষয়ে বললে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি রাস্তার অন্য মাথায় আছি তাই দেখি নাই বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা জানালে, তিনি বলেন আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।

Tepantor

তেপান্তরে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।