শেখ রাজেন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় মাকসুদা সুলতানা ঝিনুক (২২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার পর তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনেরা।
জানা যায়,গত পাঁচ বছর আগে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আইয়ুব আলী খানের ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে কসবা উপজেলার বাদুইর গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে মাকসুদা সুলতানা ঝিনুকের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। এর মধ্যে এই দম্পতির ঘরে আরিয়ান নামে ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান আসে। তবে বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী, শাশুড়িসহ স্বজনেরা প্রায়ই তার উপর নির্যাতন করতেন। বিষয়টি নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ প্রায়শই তাদের স্বজনদের এ বিষয়ে জানাতেন। গৃহবধূর স্বজনরা এই নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ ও করেছেন।
নিহত মাকসুদা সুলতানা ঝিনুক এর বড় বোন তানিয়া আক্তার জানান, যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা ছাড়াও সোহেল তার আগের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায়। এ নিয়ে কথা বললে তার বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করত সোহেল। আর আজ তাকে প্রাণেই মেরে ফেলা হলো। তাকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতকরা।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে বলেন, হাসপাতাল সূত্রে জানতে পারি এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে তার স্বামী। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়। এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না৷
তেপান্তরে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Copyright © 2024 তেপান্তর | Design & Developed By: ZamZam Graphics