আশরাফুল মামুন: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মুনাফা লাভের আশা দেখলেও লকডাউনের কারণে মাথায় হাত পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গরু খামারিদের। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই শঙ্কা ঘিরে ধরছে খামারিদের। যথা সময়ে ঈদের আগে পশু বিক্রি করতে না পারলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। এজন্য প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় অনলাইন প্লাটফর্ম সহ সরাসরি গরু বিক্রির ব্যাবস্থার দাবি জানান তারা।
সম্প্রতি আরব আমিরাত থেকে ফিরে প্রবাসী সোহরাব হোসেন (৩২) ও মোঃ রাসেল তাদের নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা গ্রামের বড় বাড়িতে খামার গড়ে তুলেছেন নুন্নাহার এগ্রো ফার্ম। খামারে নিজে কাজ করার পাশাপাশি প্রতিবেশীদের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন দুই উদ্যোক্তা।১৬ বছর সোহরাব আরব আমিরাতে ছিলেন তার ছোটভাই রাসেল ১২ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়েছে। মহামারী করোনা ভাইরাসে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে অনেক স্বপ্ন নিয়ে খামার খুলেছিলেন। প্রবাস জীবনে যে করোনার জন্য চাকরি হারিয়েছে সে করোনা এখন যে পিছু ছাড়ছেনা। দেশে এসে গড়ে তোলা খামারেও ধ্বস নামার সম্ভাবনা।
নুন্নাহার এগ্রো খামারে মোট ১৫ টি গরু রয়েছে এর মধ্যে দশটি গরু কুরবানী কে সামনে রেখে বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছে কিন্তু স্বপ্ন নিয়ে এখন যে বিপাকে রয়েছে তারা ।সরকারের কাছে দাবী যেন ন্যায্যমূল্যে গরুগুলো বিক্রি করতে পারেন সে সুযোগ সরকার করে দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় গরুর খাবার চড়া দামে কিনে খামারগুলো চালিয়ে এসেছে এখন যদি সেই কাঙ্খিত মূল্য না পায় তাহলে বিপর্যয় নেমে আসবে তাদের।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরেও ব্যবসা করতে পারেননি স্থানীয় গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এবারও যদি একই অবস্থা হয়, তাহলে পথে নামা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না বলে মনে করেন আখাউড়ার পাঁচ শতাধিক খামারি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কামাল বাশার জানান আখাউড়ায় মোট ৫০৬ খামার রয়েছে গরুর সংখ্যা ১৩ হাজারের উপরে।
তেপান্তরে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Copyright © 2024 তেপান্তর | Design & Developed By: ZamZam Graphics