সীমান্ত খোকন
এক একটা রাত আসে প্রাচ্যের অভিশাপ নিয়ে।
কি ভয়ঙ্কর রাত, কি ভয়ঙ্কর অন্ধকার, গাঢ় অন্ধকার।
অন্ধকারে আমি আমাকেই দেখিনা।
আমি আছি নাকি নেই বুঝিনা।
হাত-পা নাড়িয়ে খুজি, নিজের অস্তিত্ব খুজি।
অন্ধকারে দুঃখ্য ভাসে, কষ্ট ভাসে,হতাশার হা-হুতাশ ভাসে, ঘুমরে কান্নার শব্দ ভাসে,ভাসে আর্তচিৎকার।
আমি যখন ঘুমাতে যাই এসব আমার কানে বাজে।
এটা কি বেড রুম নাকি লাশ কাটা ঘর?
আমার ঘরে তারা অধিকার খাটায়।
সারারাত সহ্য করি কালো অত্যাচার।
রুমের ‘এসি’টা বাতাশের নাম করে সারারাত হু হু করে অভিশাপ দেয়।
আমি কম্বলের নিচে লুকায়।
আমি ঘুমাতে পারিনা।
তখন মরে যাওয়ার স্বাদ জাগে, মিশে যাওয়ার স্বাদ জাগে।
অনুভূতিরা সব বুকে জমে কোলাহল করে, সাত সাগরের আওয়াজ তুলে।
বিষে ভরে যায় মন।
অস্তিত্বহীন হয়ে যাই প্রেতাত্মার মতো।
জীবন ও মৃত্যুর মাঝে তফাৎ বুঝিনা।
বেচে থাকার প্রয়োজন কি, মরে গেলেইবা ক্ষতি কি?
তেপান্তরে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Copyright © 2024 তেপান্তর | Design & Developed By: ZamZam Graphics